কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের জোলাগাতী গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রোকেয়া বেগম (৫০) নামে এক নারীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত অবস্থায় খুলনা ২৫০ বেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৮ মে) সকাল ৮টার দিকে নিজ জমিতে চাষাবাদের বিষয়ে প্রতিবেশী কৃষক পিরুর স্বামীর সঙ্গে কথা বলছিলেন রোকেয়া বেগম।
এ সময় প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর ওরফে জাকির আকন পেছন থেকে লোহার রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন এবং নির্মমভাবে মারধর করেন। ঘটনাস্থলেই রোকেয়া বেগম অচেতন হয়ে পড়েন। তার কন্যা আফিয়ার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুতর আহত রোকেয়া বেগমকে তার মেয়ে আফিয়া ও ছেলে আবু সালেহ স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়।
দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আফিয়া অভিযোগ করে বলেন, জাহাঙ্গীর, জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সুরমা বেগম, সোবাহানের স্ত্রী রাহেলা, আলমগীরের স্ত্রী শাহনাজ আমার মাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার মা মারা যায়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান ঘটনার সততা নিশ্চিত করেছেন।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সোলায়মান জানান, বিকেলে ঘটনাস্থলে আমি ও সার্কেল এসপি স্যার পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।